Discuss Forum

1. নিজের আবেগ অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারা শিশুর কোন ধরনের বিকাশ?

  • A. শারীরিক বিকাশ
  • B. শারীরিক বিকাশ
  • C. শারীরিক বিকাশ
  • D. শারীরিক বিকাশ

Answer: Option D

Explanation:

শিশুর সুষ্ঠু লালনপালন করতে হলে, তাকে সঠিকভাবে মানুষ করে তুলতে চাইলে তার সুষম সর্বাঙ্গীন বিকাশের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। শিশু নানা রকম কাজ করার ক্ষমতা নিয়েই জন্মায়। সেসব ক্ষমতা তার ভেতরে থাকে সম্ভাবনা হিসেবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেলে সেগুলোর বিকাশ ঘটে। শিশুর বহুমুখী সম্ভাবনার বিকাশের যে প্রক্রিয়া তার সুষ্ঠুতম ও সর্বোত্তম পরিণতি ঘটানোর কাজে সহায়তা করাকেই আমরা বলতে পারি মানুষ করে তোলা। সাধারণত শিক্ষাবিজ্ঞানে এই বিকাশ প্রক্রিয়ার পাঁচটি ধারা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে_ (১) শারীরিক বিকাশ (২) মানসিক বিকাশ (৩) আবেগিক বিকাশ (৪) সামাজিক বিকাশ (৫) নৈতিক বিকাশ মানব সমাজের নবীন সদস্যকে মানুষের মত মানুষ করতে হলে এই প্রতিটি বিকাশ ধারার অবিরাম গতিকে নিশ্চিত করতে হবে। যখন শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্রে - রোগহীন সুষম স্বাস্থ্য গঠিত হবে; মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে - জ্ঞানের আহরণ ও বিভিন্ন মানসিক শক্তির পূর্ণ বিকাশ ঘটবে; আবেগিক ক্ষেত্রে - সুসমন্বিত আবেগ প্রকাশের বা আবেগকে বশে রাখার যোগ্যতা জন্মাবে; সামাজিক ক্ষেত্রে - সামাজিক ও নাগরিক যোগ্যতার পূর্ণ বিকাশ ঘটবে; নৈতিক ক্ষেত্রে - সমাজে প্রতিষ্ঠিত নৈতিক মানের ও সুষম জীবনদর্শনের বিকাশ ঘটবে - তখনই কোন ব্যক্তি সম্বন্ধে বলা যাবে - মানুষের মতো মানুষ হয়েছে। আর যে ধরনের শিক্ষার মাধ্যমে শিশুর বিকাশ ধারার অবিরাম ও সার্থক গতি নিশ্চিত করা যাবে অর্থাৎ শিশুকে স্বাস্থ্যবান, সুসঙ্গত, সুসামাজিক, সুকৌশলী ও সার্থক জীবনবোধ সম্পন্ন সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করা যাবে সে শিক্ষাই সার্থক শিক্ষা। এ ধরনের শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরাই নিজের ও সমাজের বৃহত্তর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি সাধন করতে পারেন। সুতরাং বলা যায়, শিক্ষার সাধারণ লক্ষ্য হচ্ছে শিশুর সর্বতোমুখী বিকাশ প্রক্রিয়ার সর্বোত্তম পরিণতি ঘটানো। বিকাশ প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে শারীরিক বিকাশ অন্যতম। কারণ কেবল 'সুস্থ দেহে সুস্থ মন' - এর বাস সম্ভব। শিশুর শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আরো একাধিক বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিতে হয়। অঙ্গ সঞ্চালনের সুযোগ তার মধ্যে একটি। অঙ্গ সঞ্চালন দুভাবে করা যেতে পারে। ঘরের ভেতরে ব্যায়ামের মাধ্যমে আর ঘরের বাইরে মাঠের খেলার মাধ্যমে। শিশুর শারীরিক বিকাশের সর্বোত্তম পরিণতি ঘটানোর ক্ষেত্রে বহিরাঙ্গন খেলার একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সে গুরুত্ব অনুধাবন করার ও ঢাকা শহরে বহিরাঙ্গন খেলার সুযোগের পরিমাণ অনুসন্ধান করার প্রচেষ্টাই বর্তমান প্রবন্ধের প্রধান উপজীব্য।

Post your comments here:

Name:
Mobile:
Email:(Optional)

» Your comments will be displayed only after manual approval.