অর্থনীতিবিদদের মতে:
- অর্থনীতিবিদ্ ক্রাউথার (Crowther) বলেন, “মূদ্রাস্ফীতি হল এমন এক অবস্থা যখন অর্থের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পায় এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।”
- অধ্যাপক পিগু  বলেন, “যখন আয় সৃষ্টিকারী কাজ অপেক্ষা মানুষের আর্থিক আয় অধিক হারে বৃদ্ধি পায়, তখনই মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়।”

- পূর্ণ নিয়োগস্তর অতিক্রান্ত হলে যদি মুদ্রাস্ফীতি ঘটে, তবে মূল্যবৃদ্ধি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারণে সহায়ক হতে পারে না।
- এর ফলে, মুদ্রাস্ফীতি চরম আকার ধারণ করে এবং দেশের উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
- এই সময়ে ব্যবসায়ীরা ও উৎপাদনকারীরা উৎপাদন বৃদ্ধির পরিবর্তে ফটকা ব্যবসার মাধ্যমে দ্রুত মুনাফা অর্জনে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
- ফলে, দেশের প্রকৃত উৎপাদন কমে যায়। পাশাপাশি, অর্থের ক্রয়শক্তি দ্রুত কমে যায়, ফলে সঞ্চয়কারীরা সঞ্চয়ের পরিবর্তে ভোগব্যয় বাড়িয়ে দেয়, যা মূলধন গঠনে ক্ষতি করে।
- চরম মুদ্রাস্ফীতির সময় উদ্যোক্তারা উৎপাদন ক্ষেত্রে ঝুঁকি গ্রহণ করতে আগ্রহী হন না।

সুতরাং মুদ্রাস্ফীতির ফলে শেষ পর্যন্ত উৎপাদন ও নিয়োগ কমে আসে। নিয়োগ কম হলে বেকারত্ত্বের হার বাড়বে।