বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অঞ্চলে বাংলাদেশ সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও ব্যবহারের অধিকার রাখে। রাজনৈতিকভাবে, বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। 

অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিস্তারিত 

• অর্থনৈতিক অঞ্চল: জাতিসংঘের সমুদ্র আইন অনুযায়ী, প্রতিটি উপকূলীয় দেশ তাদের উপকূলরেখা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত একটি একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (EEZ) ঘোষণা করতে পারে। 
• অধিকার: এই ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকার মধ্যে, একটি দেশের সামুদ্রিক সম্পদ, যেমন মৎস্য ও খনিজ সম্পদ আহরণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ অধিকার থাকে। 
• মহীসোপান: ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকার পর, যে মহীসোপানের (Continental Shelf) বিস্তার রয়েছে, সেখানেও বাংলাদেশ তার প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। কক্সবাজার উপকূলের দিকে এই মহীসোপানের বিস্তার ২৫০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে, যা প্রায় ১৪০ নটিক্যাল মাইল। 
• রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা: ১৮৯৮ সালের একটি সমুদ্র আইন অনুযায়ী, দেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা বা আঞ্চলিক সমুদ্র (Territorial Sea) ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে উপকূলীয় রাষ্ট্রটি সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করে।