Discuss Forum

1. হাদীস অস্বীকারকারীর অবস্থান-

  • A. কাফির
  • B. কাফির
  • C. কাফির
  • D. কাফির

Answer: Option A

Explanation:

জবাব: ওয়ালাইকুমমুসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ…আলহামদুলিল্লাহ, সালাত এবং সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী এবং রাসুল মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর এবং তার পরিবারবর্গ এবং তার সাহাবায় কেরাম এবং শেষ দিবস পর্যন্ত প্রতিটি মুসলিম নর নারীর উপর, আম্মা বাদ। উপরোক্ত প্রশ্নে যাদের সম্পর্কে বলা হল, আসলে এদেরকে আহলে কুরআন বা কুরআনিক বলা ঠিক নয়। তাদের সঠিক পরিচয় হচ্ছে, তারা সুন্নাত বা হাদীস অস্বীকারকারী। তারা কখনোই  কুরআনের অনুসারী নয়; বরং তারা কুরআনের দুশমন। তারা যদি আসলেই কুরআনের অনুসারী হতো, তাহলে তারা রাসুলের হাদীস বা সুন্নাতকে মেনে নিতো। কেননা কুরআনে কারীমের অনেক জায়গায় রাসুলের আনুগত্য ও অনুসরণের ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে এবং সরাসরি রাসুলের আদেশ, নিষেধ এবং ফয়সালা মেনে চলার আদেশ দেয়া হয়েছে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য ও অনুসরণ করা আবশ্যক করে দেয়া হয়েছে। তারা যদি রাসুলের আনুগত্য এবং অনুসরণকে অস্বীকার করে, তবে তারা যেন কুরআনকেই অস্বীকার করলো। অতএব যারা রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, রাসুলের আনুগত্য ও অনুসরণকে অস্বীকার করে, তারা আহলুল কুরআন বা কুরআনিক নয়। তারা কুরআনের বিরোধিতাকারী, তারা কুরআন অমান্যকারী, তারা কুরআন অস্বীকারকারী, বিভ্রান্ত ও বিভ্রান্তকারী। শুধু তাই নয়, বরং যারা সরাসরি রাসুলের হাদীসকে অস্বীকার করবে তারা আহলুস সুন্নাহ এর আলেমদের ঐক্যমতে কাফের, এবং হাদীস অস্বীকার করার মাধ্যমে তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে অথবা তারা এর মাধ্যমে মুরতাদ হয়ে যাবে। কেননা আহলুস সুন্নাহ এর আলেমদের কাছে কুরআন যেমন হুজ্জৎ, তেমনিভাবে হাদীসও হুজ্জৎ, কুরআনের একটি আয়াত যেই রকম গুরুত্ব ও মর্যাদা রাখে, তেমনিভাবে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত রাসুলের হাদীসও কুরআনের আয়াতের মতো গুরুত্ব ও মর্যাদা রাখে। কারণ কুরআন যেই রকম ওহী, হাদীসও সেই রকম ওহী। অতএব কুরআন এবং হাদীসের মাঝে পার্থক্য করার কোন সুযোগ নেই, সহীহ হাদীস কখনোই কুরআনের বিপরীতে যাবেনা, এবং কুরআনের কোন আয়াতও বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত হাদীসের বিপরীতে যাবেনা।

অতএব রাসুলের হাদীস অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই, বরং প্রত্যেক মুসলিমের উপর আবশ্যক হচ্ছে, রাসুলের হাদীসকে মেনে নেওয়া, এবং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা, সুন্নাতের প্রতি মানুষকে আহব্বান করা এবং যারা রাসুলের সুন্নাত বা হাদীসকে অস্বীকার করে, তাদের ব্যাপারে সাবধান ও সতর্ক করা। কেননা ইসলামের অনেক বিষয়ে ইখতেলাফ রয়েছে এবং থাকবে কিন্তু রাসুলের হাদীস মানা এবং না মানার ব্যাপারে ইখতেলাফের কোন সুযোগ নেই, কারণ এটা হচ্ছে ঈমান এবং কুফর এর বিষয়। যার উপরে এই উম্মাহর ইজমা হয়ে গেছে। সুতরাং হাদীস অস্বীকারকারীরা হল নব্য আবিষ্কৃত বিদআতি, গোমড়া ও পথভ্রষ্ট এবং অবাঞ্ছিত  দল, যারা মানুষকে ঈমান থেকে কুফরের দিকে নিয়ে যাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছে। আল্লাহ আমাদেরকে এবং মুসলিম উম্মাহকে হাদীস অস্বীকারকারী বাতিল ফির্কা থেকে হিফাযত করুন। আমীন।


Post your comments here:

Name:
Mobile:
Email:(Optional)

» Your comments will be displayed only after manual approval.