Discuss Forum

1.  মুদ্রাস্ফীতি কারণে অর্থের ক্রয়ক্ষমতা

  • A. কমে
  • B. কমে
  • C. কমে
  • D. কমে

Answer: Option A

Explanation:

মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়, অর্থাৎ একই পরিমাণ টাকা দিয়ে আগের চেয়ে কম পণ্য ও পরিষেবা কেনা যায়। যখন মুদ্রাস্ফীতি ঘটে, তখন সময়ের সাথে সাথে অর্থের মূল্য কমে যায়, কারণ পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে এবং বিনিয়োগের প্রকৃত আয় কমে যেতে পারে। 
বিস্তারিত আলোচনা
  • ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস: মুদ্রাস্ফীতি হল পণ্য ও পরিষেবার দামের সাধারণ বৃদ্ধি। এর ফলে, আপনার কাছে থাকা টাকার প্রতিটি একক কম পণ্য ও পরিষেবা কিনতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ১০% হয়, তাহলে এক বছর পর আপনার মুদ্রাটি পূর্বের তুলনায় ১০% কম প্রকৃত পণ্য কিনতে পারবে। 
  • ব্যয় বৃদ্ধি: মুদ্রাস্ফীতির সময়, এমনকি যদি আপনি আপনার জীবনযাত্রায় কোনো পরিবর্তন না করেন, তবুও আপনার ব্যয় বেড়ে যাবে, কারণ একই জিনিস কিনতে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। 
  • বিনিয়োগে প্রভাব: এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় ঝুঁকি, যা 'ক্রয় ক্ষমতার ঝুঁকি' নামে পরিচিত। যদি আপনার বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত রিটার্ন মুদ্রাস্ফীতির হারের চেয়ে কম হয়, তাহলে আপনার বিনিয়োগের প্রকৃত মূল্য কমে যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো বিনিয়োগে ৪% রিটার্ন হয় এবং মুদ্রাস্ফীতি ৫% হয়, তাহলে আপনার বিনিয়োগের প্রকৃত রিটার্ন হবে -১%। 
  • অর্থের সরবরাহ: সরকার যদি অতিরিক্ত অর্থ বা মুদ্রা ছাপায়, তবে বাজারে অর্থের সরবরাহ বাড়ে। কিন্তু যদি পণ্যের সরবরাহ না বাড়ে, তবে পণ্যের দাম বেড়ে যায় এবং মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। 

Post your comments here:

Name:
Mobile:
Email:(Optional)

» Your comments will be displayed only after manual approval.