বৃষ্টি প্রধানত চার প্রকার: পরিচলন বৃষ্টি, শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি, সংঘর্ষ বা বায়ু প্রাচীরজনিত বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবৃষ্টি। এই প্রকারভেদগুলো মেঘ সৃষ্টি এবং বৃষ্টিপাতের প্রক্রিয়াগুলোর উপর ভিত্তি করে করা হয়। 

বৃষ্টির প্রকারভেদ:

• পরিচলন বৃষ্টি: সূর্যরশ্মির তাপে জলীয় বাষ্প সরাসরি উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে মেঘে পরিণত হয়। এই মেঘ থেকে যে বৃষ্টি হয়, তাকে পরিচলন বৃষ্টি বলে। 
• শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি: পর্বতশ্রেণির ঢাল বরাবর বায়ু যখন উঁচু পর্বতে বাধা পেয়ে উপরে উঠে যায়, তখন জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি সৃষ্টি করে। একে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি বলে। 
• সংঘর্ষ বৃষ্টি বা বায়ু প্রাচীরজনিত বৃষ্টি: দুটি ভিন্ন তাপমাত্রার বায়ুর সংঘর্ষের ফলে যে বৃষ্টি হয়, তাকে সংঘর্ষ বৃষ্টি বলে। 
• ঘূর্ণিবৃষ্টি: ঘূর্ণিবায়ু বা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিকে ঘূর্ণিবৃষ্টি বলা হয়। 

এইভাবে বিভিন্ন ভৌগোলিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় এবং এর ওপর ভিত্তি করে প্রকারভেদ করা হয়।