Discuss Forum
1. CRISPR প্রযুক্তি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিপ্লব ঘটিয়েছে। এই প্রযুক্তির কোন প্রয়োগটি নৈতিকতা বিরোধী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী?
- A. মানব ভ্রূণের কোষ পরিবর্তন করে বংশগতির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা
- B. মানব ভ্রূণের কোষ পরিবর্তন করে বংশগতির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা
- C. মানব ভ্রূণের কোষ পরিবর্তন করে বংশগতির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা
- D. মানব ভ্রূণের কোষ পরিবর্তন করে বংশগতির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা
Answer: Option A
Explanation:
সবচেয়ে বেশি নৈতিকতা বিরোধী হওয়ার সম্ভাবনাযুক্ত CRISPR প্রযুক্তির প্রয়োগ হলো মানব ভ্রূণের কোষ পরিবর্তন করে বংশগতির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা, কারণ এর ফলে জিনগত পরিবর্তনগুলো পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হতে পারে এবং এটি 'ডিজাইনার বেবি' বা ইউজেনিক্স (eugenics) ধারণার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
- মানব ভ্রূণের কোষ পরিবর্তন করে বংশগতির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা: এটি সবচেয়ে বেশি নৈতিক উদ্বেগ তৈরি করে। কারণ, এই পরিবর্তনগুলো কেবল একটি ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়। এর ফলে অপ্রত্যাশিত এবং ক্ষতিকর জিনগত পরিবর্তন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে এবং এটি ‘ডিজাইনার বেবি’ বা মানব প্রজাতির উন্নয়নের মতো 'ইউজেনিক্স'-এর ধারণাকে উৎসাহিত করতে পারে।
- সিস্টিক ফাইব্রোসিসের রোগের চিকিৎসার জন্য কোষে জিনগত ত্রুটি সংশোধন করা: এটি মূলত 'সোম্যাটিক সেল এডিটিং' (somatic cell editing), যেখানে পরিবর্তনগুলো শুধুমাত্র শরীরের নির্দিষ্ট কোষে সীমাবদ্ধ থাকে এবং পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় না। এটি একটি থেরাপিউটিক প্রয়োগ যা একটি নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে করা হয়।
- ফসলের জিনোম পরিবর্তন করে ফলন ক্ষমতা ও ক্ষরা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা: এটি একটি কৃষিভিত্তিক প্রয়োগ। যদিও এর পরিবেশগত প্রভাব এবং নিরাপত্তা নিয়ে কিছু উদ্বেগ থাকতে পারে, তবে এটি মানব ভ্রূণের পরিবর্তনের মতো নৈতিক বিতর্ক তৈরি করে না।
- ইদুরের মতো মডেল জীবে জিনের কাজ নিয়ে গবেষণা করা: এটি একটি মৌলিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা। জিনোমের কার্যকারিতা বোঝার জন্য এটি প্রয়োজনীয় এবং এটি সরাসরি মানুষের ওপর প্রয়োগ নয়, তাই এটি অন্যান্য বিকল্পগুলির তুলনায় কম নৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করে।
Post your comments here: