Discuss Forum
1. 'মানব-কল্যাণ' প্রবদ্ধ অনুসারে মানব-কল্যাণের পথে অন্তরায়-
- A. রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা
- B. রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা
- C. রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা
- D. রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা
Answer: Option B
Explanation:
'মানব-কল্যাণ' প্রবন্ধে দুস্থ, অবহেলিত, বাস্তুহারা এবং স্বদেশ-বিতাড়িত মানুষ মানব-কল্যাণের পথে অন্তরায় নয়, বরং তারা হলো এই প্রবন্ধের মূল আলোচ্য বিষয় বা সমস্যা। লেখক আবুল ফজল এদের প্রতি সহানুভূতিশীল না হয়ে, এদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় উত্তরণের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা, অনুগ্রহকারী ও অনুগৃহীতের ব্যবধান এবং মুক্ত বিচারবুদ্ধির অভাবই হলো মানব-কল্যাণের প্রধান অন্তরায়।
- দুস্থ, অবহেলিত, বাস্তুহারা, স্বদেশ-বিতাড়িত মানুষ: এরা মানব-কল্যাণের পথে কোনো অন্তরায় নয়, বরং এদের কল্যাণ নিশ্চিত করাই প্রবন্ধের মূল লক্ষ্য। লেখক দেখিয়েছেন যে, এদের প্রতি করুণা-ভিত্তিক দান-খয়রাত (যেমন: একমুষ্টি ভিক্ষা দেওয়া) প্রকৃত মানব-কল্যাণ নয়, বরং এদের সামগ্রিক মঙ্গলের প্রয়াসই সত্যিকারের মানব-কল্যাণ।
- রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা: লেখকের মতে, এই ধরনের গোষ্ঠীগত চেতনা এবং বিভাজনই মানব-কল্যাণের পথে প্রধান অন্তরায়।
- অনুগ্রহকারী ও অনুগৃহীতের ব্যবধান: যারা অনুগ্রহ করে, তাদের এবং যাদের অনুগ্রহ করা হয়, তাদের মধ্যে যে ব্যবধান রয়েছে, তাও মানব-কল্যাণের পথে একটি অন্তরায়।
- মুক্ত বিচারবুদ্ধির অভাব: সমাজের মানুষের মধ্যে মুক্ত বিচারবুদ্ধির অভাবও মানব-কল্যাণকে বাধাগ্রস্ত করে।
Post your comments here: