হাইপারটেনশনের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস যেমন অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, ধূমপান, মদ্যপান, এবং কম শারীরিক কার্যকলাপ। এছাড়াও, জিনগত কারণ, অতিরিক্ত ওজন, এবং কিছু অন্তর্নিহিত রোগও এর জন্য দায়ী হতে পারে। প্রাথমিক উচ্চ রক্তচাপ (এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন) সাধারণত ধীরে ধীরে বিকশিত হয়, যেখানে সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে হঠাৎ দেখা দিতে পারে। 

জীবনযাত্রার কারণ

• খাবারে অতিরিক্ত লবণ: অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম প্রধান কারণ।
• অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা: শরীরের অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
• ধূমপান ও মদ্যপান: ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
• শারীরিক কার্যকলাপের অভাব: পর্যাপ্ত শাকসবজি, ফলমূল না খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ব্যায়ামের অভাবও কারণ হতে পারে।
• অপর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে (৬-৮ ঘণ্টা) রক্তচাপ বাড়তে পারে।
• ক্যাফিনযুক্ত পানীয়: অতিরিক্ত চা, কফি বা ক্যাফিনযুক্ত পানীয় সেবন করা। 

• জিনগত কারণ: অনেক ক্ষেত্রে, উচ্চ রক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস থাকতে পারে। 
• অন্তর্নিহিত রোগ: কিছু রোগ, যেমন কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যা সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন সৃষ্টি করতে পারে। 
• স্ট্রেস: মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত স্ট্রেস সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে পারে। 

অন্যান্য কারণ

• ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেকেন্ডারি হাইপারটেনশনের কারণ হতে পারে। 
• গ্যাস: পেটে গ্যাসের কারণে সৃষ্ট অস্বস্তি থেকেও সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়তে পারে, কারণ শরীর স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে।