Discuss Forum
1. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অবদান-
- A. জাতীয় জাদুঘর
- B. জাতীয় জাদুঘর
- C. জাতীয় জাদুঘর
- D. জাতীয় জাদুঘর
Answer: Option C
Explanation:
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত এবং তাঁর প্রধান অবদান হলো তিনি দেশের শিল্পকলা চর্চার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ এবং সাধারণ মানুষের জীবন সংগ্রামকে চিত্রায়িত করে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর বিখ্যাত কাজের মধ্যে রয়েছে 'নবান্ন' (৬৫ ফুট দীর্ঘ), 'মই দেওয়া', 'সাঁওতাল রমণী' এবং 'কাক'। তিনি ঢাকা আর্ট কলেজ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং ময়মনসিংহে তাঁর নিজের নামে একটি সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রধান অবদানসমূহ:
- আধুনিক শিল্পের বিকাশ: তিনি বাংলাদেশে আধুনিক শিল্পকলার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ) প্রতিষ্ঠা করেন, যা নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের বিকাশে সহায়ক হয়।
- জনপ্রিয় এবং সামাজিক চিত্রকর্ম: তিনি ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা এবং গ্রামীণ জীবন সংগ্রামের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন, যা তাঁর মানবতাবাদী এবং প্রতিবাদী শিল্পীসত্তার পরিচয় দেয়। তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে:
- 'নবান্ন' (১৯৭০)
- 'মই দেওয়া'
- 'সাঁওতাল রমণী'
- 'কাক'
- লোক ও কারুশিল্পের সংরক্ষণ: তিনি বাংলাদেশের লোক ও কারুশিল্পের ঐতিহ্য সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এর অংশ হিসেবে তিনি সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং ময়মনসিংহে জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করেন।
- অন্যান্য সম্মাননা: শিল্পকলার প্রতি তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তিনি 'শিল্পাচার্য' উপাধিতে ভূষিত হন। এছাড়া তিনি নিখিল ভারত স্বর্ণপদক (১৯৩৮) এবং হেলাল-ই-ইমতিয়াজ (১৯৫৮) সহ বহু সম্মাননা লাভ করেন।
Post your comments here: