Discuss Forum

1.

14.ওজোনস্তরের সুরক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য নিচের কোন সনদ স্বাক্ষরিত হয় ?

  • A. কিয়োটো প্রটোকল
  • B. কিয়োটো প্রটোকল
  • C. কিয়োটো প্রটোকল
  • D. কিয়োটো প্রটোকল

Answer: Option B

Explanation:

জীববৈচিত্র্যে ভরা আমাদের এই পৃথিবী। ওজোন স্তর এই পৃথিবীর বায়ুম - লের এমন একটি স্তর, যেখানে তুলনামূলক বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। এ স্তর প্রধানত স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশ। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থিত। বায়ুম - লের ওজোনের প্রায় ৯০ শতাংশ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ফরাসি পদার্থবিদ চার্লস ফ্যাব্রি এবং হেনরি বুইসন ১৯৩০ সালে ওজোন স্তর আবিষ্কার করেন। ওজোন স্তর সূর্য থেকে বিকিরিত হয়ে আসা অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পৃথিবী ও তার জীবজগৎকে রক্ষা করে চলেছে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির ৯৯ শতাংশ শোষণ করে নেয় এই ওজোন স্তর। মনুষ্য কারণসহ অন্যান্য কারণে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে দিন দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে এই ওজোন স্তর। যার ফলে তৈরি হচ্ছে ওজোন হোল বা গর্ত। ক্ষয়িষ্ণু ওজোন স্তর রক্ষায় ১৯৮৫ সালে গৃহীত ভিয়েনা কনভেনশন এবং পরবর্তী সময় ১৯৮৭ সালে (১৬ সেপ্টেম্বর) গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকল পৃথিবীর প্রাণম - ল রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০৪০ সাল পর্যন্ত মন্ট্রিল প্রটোকল অনুযায়ী ক্ষতিকর সব গ্যাসের নির্গমন বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে। ওজোন স্তর সংরক্ষণে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ পালিত হয়ে আসছে ‘বিশ্ব ওজোন স্তর সংরক্ষণ দিবস’। ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোন স্তর ক্ষয়ের দায়ী দ্রব্যগুলো ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ওজোন স্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। প্রটোকল অনুযায়ী সদস্য দেশগুলো ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যসমূহ যেমন ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (সিএফসি), হ্যালন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ক্লোরোফর্ম, মিথাইল ব্রোমাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, হাইড্রোব্রোমোফ্লোরোকার্বন ইত্যাদির ব্যবহার ও উৎপাদন সীমিত ও নিষিদ্ধ করতে সম্মত হয়। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। তাই বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশকে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যগুলোর ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা ও এসব দ্রব্যের বিকল্প ব্যবহার নিশ্চিত ও সহজ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কিছুটা প্রাকৃতিক ও বেশির ভাগই মানুষের কর্মকা - ের কারণে গ্রিনহাউস গ্যাসের উৎসারণ হচ্ছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে ওজোন স্তর ক্ষয় হওয়াসহ দেখা দিচ্ছে নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ক্ষতিকর রশ্মি থেকে প্রাণী ও উদ্ভিদ জগৎকে রক্ষা করে আসছে ওজোন স্তর। ওজোন স্তর অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে বায়ুম - লের উষ্ণতার ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। তিন ধরনের অতিবেগুনি রশ্মির মধ্যে জীবজগতের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক ‘অতিবেগুনি রশ্মি হলো - ‘সি’। মূলত এই রশ্মিটির কারণে পৃথিবী সৃষ্টির অনেক পরও জীবের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে আরো অনেক পরে আজ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে অক্সিজেন ও ওজোন অণুর সাম্যব্যবস্থা গড়ে ওঠার ফলে পৃথিবীতে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়। তথ্যমতে, এক পরমাণু ক্লোরিন এক লাখ ওজোন অণুকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ওজোন স্তরের যেসব অঞ্চলে ওজোন অণুর বিনাশ ঘটছে, সেসব অঞ্চলে ওজোন স্তর হালকা হয়ে হোল বা গর্ত তৈরি হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাস ওজোন স্তরে গিয়ে এ স্তরকে ফুটো করে ফেলছে।

Post your comments here:

Name:
Mobile:
Email:(Optional)

» Your comments will be displayed only after manual approval.