Discuss Forum
1. ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জাতির পিতা কবে এই ঘোষণা দেন?
- A. ২৬ মার্চ, ১৯৭১
- B. ২৬ মার্চ, ১৯৭১
- C. ২৬ মার্চ, ১৯৭১
- D. ২৬ মার্চ, ১৯৭১
Answer: Option B
Explanation:
বাঙালীর স্বাধীকার আন্দোলনের নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকে চেয়ে গোটা জাতি। নেতা কি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন? কি নির্দেশ তার? অন্যায় - অবিচার - শোষণের বিরুদ্ধে জনতার সংগ্রাম এবার কোন পথে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় মুক্তিপাগল সংগ্রামী জনতা।
একাত্তরের সাতই মার্চের বিকালে রেসকোর্সের ময়দানে মঞ্চ তখন প্রস্তুত, সবাই অধীর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর নির্দেশ পেতে। আন্দোলন এবং মানুষের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনায় রেখেই তেসরা মার্চ পল্টনের ছাত্র সমাবেশে বঙ্গবন্ধু সাতই মার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
একদিকে আন্দোলনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার চাপ; সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণার দাবিতে ছাত্র নেতাদের চাপ, অন্যদিকে আলোচনার পথও খোলা রাখা হয়েছিল।
সাতই মার্চের কর্মসূচির আগে ছাত্র নেতা থেকে শুরু করে জাতীয় নেতা পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেন শেখ মুজিব। ৬ মার্চ রাতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দিন আহমেদসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গেও কথা হয় তার।
৭ মার্চ সকাল থেকেই ঢাকায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা এবং ছাত্র নেতাদের ভিড়। দুপুর ২টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক এবং তোফায়েল আহমেদসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে শেখ মুজিব তার বাড়ি থেকে রওনা হন সভাস্থলের উদ্দেশ্যে।
ঢাকা সেদিন পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সে সময় রেসকোর্স ময়দান নামেই পরিচিত ছিল।
মঞ্চে সকাল থেকেই গণসংগীত বাজছিল। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেন - মানুষের মধ্যে এমন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। লাঠি, ফেস্টুন হাতে উত্তপ্ত স্লোগানে পুরো সমাবেশ এলাকা মুখর।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার রেসকোর্স মাঠে যে ভাষণ দিয়েছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, সেখানেই এসেছিল স্বাধীনতার ডাক।
Post your comments here: