1 . প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে নারীসমাজ যাতে শিক্ষার সুযোগ পায় সে জন্যে প্রয়োজন প্রচলিত ধারার পাশাপাশি বিশেষ ধরনের শিক্ষা পরিকল্পনা। সে ক্ষেত্রে রেডিও, টিভি ইত্যাদি মাধ্যম, লোকরঞ্জনমূলক ও কর্মমুখী শিক্ষা-কর্মসূচি ইত্যাদি নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। নিরক্ষর নারীর প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রামে বসবাস করে। তাই এসব কর্মসূচিকে গ্রামীণ সমাজ ও পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এসব দিক বিবেচনায় রেখে নারী শিক্ষা সম্প্রসারণে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে: ১. সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যেন স্কুলগামী ছাত্রী তাদের প্রতিষ্ঠানে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। ২. প্রতিটি নারীর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্যে গ্রামপর্যায়ে ছোট ছোট স্কুল স্থাপন, যেন বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব খুব বেশি না হয়। ৩. শিক্ষাগ্রহণে নারীকে উদ্যোগী ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকারি উপবৃত্তি যথাযথভাবে কাজে লাগানো। ৪. শিক্ষাখাতে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ অবকাঠামো নির্মাণের চেয়ে নারী শিক্ষা সম্প্রসারণে বেশি করে কাজে লাগানো এবং সে ক্ষেত্রে জবাবদিহিতাকে গুরুত্ব প্রদান । ৫. সারা দেশে নারী শিক্ষা আন্দোলন গড়ে তোলা। এই আন্দোলনে শিক্ষানুরাগী সম্প্রদায়কে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা। অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষকদের এ কাজে বিশেষভাবে নিয়োগ প্রদান। ৬. ধর্মীয় বাধা, সামাজিক কুসংস্কার, আর্থিক দারিদ্র্য ইত্যাদি অন্তরায় কাটিয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে আনার জন্যে সামাজিক প্রণোদনা সৃষ্টি করা। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনকে বিশেষভাবে কাজে লাগানো।
-
Attach answer script
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |