সংস্কৃত স্ত্রী প্রভায় যোগে পুরুষ হতে স্ত্রীবাচক শব্দ গঠন :
১. আ-প্রত্যয় : মৃত-মৃতা, বিবাহিত-বিবাহিতা, মাননীয়-মাননীয়া, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, প্রিয়-প্রিয়া, প্রথম-প্রথমা, চতুর-চতুরা, চপল-চপলা, নবীন-নবীনা, কনিষ্ঠ-কনিষ্ঠা, মলিন-মলিনা, অজ-অজা, কোকিল-কোকিলা, শিষ্য-শিষ্যা, ক্ষত্রিয়-ক্ষত্রিয়া, শূদ্রা
২. ঈ-প্রত্যয় : নিশাচর-নিশাচরী, ভয়ংকর-ভয়ংকরী,
রজক-রজকী, কিশোর-কিশোরী, সুন্দর-সুন্দরী,
চতুর্দশ-চতুর্দশী, ষোড়শ-ষোড়শী, সিংহ-সিংহী,
ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী, মানব-মানবী, বৈষ্ণব-বৈষ্ণবী,
কুমার-কুমারী, ময়ূর-ময়ূরী ৩. ইকা-প্রত্যয় :
(ক) শব্দের শেষে অক থাকলে ইকা-প্রত্যয়
যোগ হয় এবং অক'-র স্থলে ইকা হয়। যেমন-
বালক-বালিকা, নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা,
সেবক-সেবিকা, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা। ব্যতিক্রম :
গণক-গণকী (গণিকা- বেশ্যা), নর্তক-নর্তকী,
চাতক-চাতকী, রজক-রজকী/ রজকিনী (বাংলায়)
শূদ্র-
(খ) অনেক সময় ক্ষুদ্রার্থেও ইকা প্রত্যয় যোগ
হয়। তখন সেটা আর স্ত্রী প্রত্যয় থাকে না, এগুলো
ক্ষুদ্ৰাৰ্থক প্রত্যয়। যেমন- নাটক-নাটিকা (ক্ষুদ্র
নাটক, নাটকের স্ত্রী রূপ নয়), মালা-মালিকা (ক্ষুদ্র
মালা), (ক্ষুদ্র গাল), পুস্তক-পুস্তিকা (ক্ষুদ্র বই)।
গীত-গীতিকা
৪. আনী-প্রত্যয় : ইন্দ্ৰ-ইন্দ্ৰানী, মাতুল-মাতুলানী,
আচার্য-আচাৰ্যানী (আচার্যের স্ত্রী, কিন্তু আচার্যের
কাজে নিয়োজিত নারীও ‘আচার্য’), শূদ্র-শূদ্রানী
(শূদ্রের স্ত্রী, সাধারণ শূদ্র জাতীয় মহিলা ‘শূদ্রা),
ক্ষত্রিয়-ক্ষত্রিয়ানী (ক্ষত্রিয়ের স্ত্রী, ক্ষত্রিয় জাতের
মহিলা ক্ষত্রিয়া)
কখনো কখনো আনী-প্রত্যয় অর্থেরও পরিবর্তন
ঘটায়। তখন সেটা আর স্ত্রী প্রত্যয় থাকে না। যেমন-
অরণ্য-অ রণ্যানী (বৃহৎ অরণ্য), হিম-হিমানী(জমানো বরফ)।
৫. নী, ঈনী-প্রত্যয় : মায়াবী-মায়াবিনী,
কুহক-কুহকিনী, যোগী-যোগিনী, মেধাবী-মেধাবিনী,
দুঃখী-দুঃখিনী
[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ব্যাকরণ ৯ম ১০ম শ্রেণী]