1 . "পরোপকারই পরম ধর্ম" অর্থাৎ, অন্যের মঙ্গল সাধন করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এই উক্তির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে প্রকৃত ধর্ম শুধু নিজের স্বার্থে সীমাবদ্ধ নয়, বরং অন্যের কল্যাণে নিবেদিত হওয়াই প্রকৃত ধর্মের পরিচায়ক। ব্যাখ্যা: মানবজীবনের আসল সৌন্দর্য পরোপকারে। যারা নিঃস্বার্থভাবে অন্যের কল্যাণ করে, তারা সমাজে শ্রদ্ধার পাত্র হন এবং প্রকৃত ধর্মের সাধক হিসেবে বিবেচিত হন। ১. মানবতার মূলনীতি: সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হলে মানুষকে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। পরোপকারের মধ্যেই মানুষের সত্যিকারের মূল্যবোধ প্রকাশ পায়। ২. ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ: সকল ধর্মেই পরোপকারের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ প্রতিটি ধর্মেই বলা হয়েছে যে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের উপকার করাই প্রকৃত ধর্মের অংশ। ৩. ব্যক্তিগত ও সামাজিক উপকারিতা: যারা পরোপকারী, তারা সমাজে সম্মানিত হন। অন্যের সেবায় আত্মনিয়োগ করলে মানুষ মানসিক শান্তি ও পরিতৃপ্তি লাভ করে, যা জীবনের প্রকৃত সার্থকতা। উদাহরণ: মাদার তেরেসা সারাজীবন দরিদ্র ও অসহায়দের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। হাজী মুহাম্মদ মহসিন তাঁর সম্পদ দান করে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। উপসংহার: পরোপকার ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। প্রকৃতপক্ষে, স্বার্থপরতা মানুষকে সংকীর্ণ করে তোলে, আর পরোপকার মানুষকে মহান করে। তাই বলা হয়, "পরোপকারই পরম ধর্ম"।

  • Attach answer script
View Answer Discuss in Forum Workspace Report
১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা (স্কুল সমপর্যায়-২) — জুনিয়র শিক্ষক (12-07-2024) - 2024
More

প্রিমিয়াম প্ল্যান: ১ মাস
99 ৳
৩০ দিনের জন্য সকল লাইভ এবং আর্কাইভ মডেল টেস্ট, প্রশ্ন ব্যাংক ও লেকচার শিট সহ অ্যাপ এর প্রিমিয়াম সব এক্সেস পাবেন।