১৭০০ সালে শায়েস্তা খানের দক্ষ সুবাদার হিসেবে বাংলার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন মুর্শিদকুলী খান। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে বাংলার ভঙ্গুর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে সক্ষম হন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর দুর্বল মুঘল সম্রাটগণ দূরবর্তী সবগুলাে দিকে দৃষ্টি দিতে পারেননি। ফলে এসব অঞ্চলের সুবাদারগণ অনেকটা স্বাধীনভাবে নিজেদের অঞ্চল শাসন করতে থাকেন। মুর্শিদকুলী খানও অনেকটা স্বাধীন হয়ে পড়েন। নবাব মুর্শিদ কুলী খানের সময় থেকেই বাংলা সুবা প্রায় স্বাধীন হয়ে পড়ে। ১৩৩৮ সালে ফখরুদ্দীন মােবারক শাহ বাংলার স্বাধীনতার সূচনা করলেও প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। সুলতান আলাউদ্দীন হােসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহী যুগের শ্রেষ্ঠ সুলতান।