1 . ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ মূলভাব "ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ" এই প্রবাদটি আমাদের জীবনের একটি মৌলিক সত্য তুলে ধরে। ভোগবিলাস ও স্বার্থপরতার মধ্যে সাময়িক আনন্দ থাকলেও, তা কখনও স্থায়ী সুখ এনে দিতে পারে না। প্রকৃত সুখ আসে যখন মানুষ ত্যাগের মাধ্যমে অন্যের কল্যাণে কাজ করে। ত্যাগ জীবনের সৌন্দর্য এবং মানুষের আত্মার শান্তি নিশ্চিত করে। সম্প্রসারিত ভাব মানবজীবনের প্রকৃত অর্থ আত্মত্যাগে নিহিত। জীবনের স্থায়ী সুখ কখনো ভোগবিলাসের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব নয়। ভোগ আমাদের চাহিদাকে বাড়িয়ে দেয় এবং কখনো পরিতৃপ্তি দেয় না। এটি মানুষের মধ্যে আরও লোভ, অহংকার এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, ত্যাগের মাধ্যমে মানুষ নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে অন্যের কল্যাণে কাজ করে। এই ত্যাগই তাকে প্রকৃত সুখ এনে দেয়। যারা সমাজে নিজের সম্পদ, জ্ঞান, কিংবা সময় উৎসর্গ করেন, তারাই প্রকৃতপক্ষে সুখী মানুষ। ত্যাগের এই মানসিকতা জীবনের গভীর তৃপ্তি এনে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন মায়ের আত্মত্যাগ সন্তানদের জীবনে সুখের আলো জ্বালে। মহাত্মা গান্ধী কিংবা মাদার তেরেসার মতো মানুষরা তাদের ত্যাগের মাধ্যমে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তারা ভোগের চেয়ে ত্যাগকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এবং আজও পৃথিবী তাদের স্মরণ করে। প্রকৃত সুখ পাওয়ার জন্য ত্যাগের মানসিকতা চর্চা করতে হবে। ত্যাগ আমাদের আত্মাকে মহৎ করে, মানসিক শান্তি এনে দেয় এবং জীবনের সত্যিকার অর্থ উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। উপসংহার "ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ" এই কথাটি আমাদের শেখায় যে সুখের আসল পথ আত্মত্যাগ এবং অপরের জন্য কিছু করার মধ্যে নিহিত। ভোগ সাময়িক আনন্দ দেয়, কিন্তু ত্যাগ মানুষকে চিরস্থায়ী শান্তি দেয়। তাই আমাদের উচিত নিজের স্বার্থপরতাকে দূরে সরিয়ে ত্যাগের মানসিকতা গ্রহণ করা, যা আমাদের জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে। সারসংক্ষেপ: ত্যাগ মানুষের অন্তরে শান্তি এনে দেয়, যেখানে ভোগ কেবল অস্থায়ী আনন্দ দেয়। ত্যাগের মাধ্যমে সমাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে সুখ ও সাফল্যের আসল অর্থ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
-
Attach answer script
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |