কম্পিউটারের প্রসেসর কে বোঝানোর জন্য বিভিন্ন বর্ণ, প্রতীক, চিহ্ন, সংখ্যাকে বাইনারিতে (0,1) রূপান্তর করে ইউনিক সংকেত তৈরি করা হয়, যাকে কোড বলে। কোডকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: নিউমেরিক কোড: অক্টাল কোড: বাইনারি ৩ বিট বিশিষ্ট কোডকে অক্টাল কোড বলে। কম্পিউটার ও মাইক্রোপ্রসেসের এর মধ্যে সংযোগ সৃষ্টির জন্য এই কোড ব্যবহৃত হয়। হেক্সা ডেসিমাল কোড: কম্পিউটার ও মাইক্রোপ্রসেসের এর মধ্যে সংযোগ সৃষ্টির জন্য এই কোড ব্যবহৃত হয়। BCD কোড: BCD এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Binary Coded Decimal. দশমিক সংখ্যার প্রতিটি অংককে সমতুল্য 4 বিট বিশিষ্ট বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশ করাকে বিসিডি কোড বলে। উল্লেখ্য যে, বাইনারি সংখ্যা ও BCD কোড এক নয়। যেমন: (13)10 = (1101)2 [বাইনারি] (13)10 = (0001 0011)BCD [BCD] BCD কোড অনেক প্রকারের হয়ে থাকে।যেমন: BCD 8421 (NBCD) BCD 7421 BCD 5421 BCD 2421 BCD 6423 ইত্যাদি। আলফা নিউমেরিক কোড: যে কোড এ ইংরেজি সকল অক্ষর (A-Z, a-z) সব অংক (0-9) গাণিতিক চিহ্ন (+,-,×,÷ ) ও বিশেষ চিহ্ন (@,#,?,!,/ ইত্যাদি) সব রয়েছে তাকে আলফা নিউমেরিক কোড বলে। কয়েকটি জনপ্রিয় আলফানিমেরিক কোড হল: ASCII কোড: ASCII এর পূর্ণরূপ হচ্ছে American Standard Code for Information Interchange. এ কোডে বর্ণ, অংক, চিহ্ন সব ধরনের ক্যারেক্টারে রয়েছে । EBCDIC কোড: EBCDIC এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Extended Binary Coded Decimal Information Code. ৮ বিট বিশিষ্ট বাইনারি সংখ্যাকে EBCDIC কোড বলে।