391 . সুরতহাল
- সুরতহাল = মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন কোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে।
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
392 .
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হলো বিচার বিভাগ। পৃথিবীর প্রত্যেক রাষ্ট্র দোষী ও অপরাধীদের শাস্তি বিধানের জন্য বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ দণ্ড প্রদান এবং সংবিধানের ব্যাখ্যা দান করে। বিচার বিভাগ আইনের অনুশাসন ও দেশের সংবিধানকে অক্ষুন্ন রাখে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। যথা: উচ্চতর বিচার বিভাগ (সুপ্রিম কোর্ট) ও অধস্তন বিচার বিভাগ (নিম্ন আদালত সমূহ)। বর্তমান বিচার বিভাগের প্রধান বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
393 . মনে করুন, আজ আপনার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদানের দিন, একটি যোগদানপত্র লিখুন।
-
তারিখ: ১৫.১১.২০২৪ খ্রি.
বরাবর
জেলা ও দায়রা জজ,
দিনাজপুর
বিষয়: অফিস সহকারী পদে যোগদান প্রসঙ্গে
সূত্র: জেলা ও দায়রা জজ আদালত, দিনাজপুরের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখার স্মারক নম্বর ০৫.০০০. ০০০০. ১২৮. ১৯.০২.২২; তারিখ: ১৫.১১.২০২৪ খ্রি.।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের নির্দেশমতে অদ্য ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ পূর্বাহ্ণে অফিস সহকারী পদে যোগদানপত্র দাখিল করলাম।
এমতাবস্থায়, আমার যোগদানপত্র গ্রহণ করতে মহোদয়ের সদয় মর্জি প্রার্থনা করছি।
বিনীত নিবেদক
মো. রেজাউল করিম
মোবাইল: ০১৭৫৫........
ই-মেইল: sattacademy@gmail.com
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
394 . মানব কল্যাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। (রচনা লিখুন)
-
মানব কল্যাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
ভূমিকা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানবজাতির অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি। বিজ্ঞানের অবদান আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ, সুন্দর এবং উন্নত করেছে। প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে আমাদের জীবনযাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা একসময় কল্পনার বাইরে ছিল। মানব কল্যাণে বিজ্ঞানের এই অবদান সমাজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি এবং পরিবেশসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিজ্ঞানের অবদান
স্বাস্থ্য খাতে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির ফলে চিকিৎসা খাতে বিপ্লব ঘটেছে। জটিল রোগের নিরাময়ে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, সার্জারি, টেলিমেডিসিন এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন উদ্ভাবন চিকিৎসা সেবা উন্নত করেছে। করোনা মহামারির সময় ভ্যাকসিন তৈরির দ্রুত উদ্ভাবন বিজ্ঞানের একটি যুগান্তকারী সাফল্য।
যোগাযোগ খাতে
বিজ্ঞান যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুততর করেছে। টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট এবং উপগ্রহ প্রযুক্তির ফলে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ এখন মুহূর্তের ব্যাপার। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যপ্রাপ্তি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষকে কাছে এনেছে।
শিক্ষা ও জ্ঞান বিস্তারে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান শিক্ষা ক্ষেত্রে অনন্য। ই-বুক, অনলাইন ক্লাস, ডিজিটাল ল্যাব এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি শিক্ষার ধরণকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান লাভের সুযোগকে আরও সহজ এবং আকর্ষণীয় করেছে।
কৃষি খাতে
কৃষি উৎপাদনে বিজ্ঞানের অবদান অমূল্য। উন্নত বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতি, এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে কীটনাশক এবং সার ব্যবহারে বিজ্ঞান কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
প্রযুক্তির অবদান
প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে যেমন সহজ করেছে, তেমনি মানব কল্যাণে নতুন নতুন দিক উন্মোচন করেছে। রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ড্রোন প্রযুক্তি, ব্লকচেইন এবং ৩ডি প্রিন্টিংয়ের মতো উদ্ভাবনগুলো প্রতিদিনই মানুষের কাজে লাগছে। প্রযুক্তি আজকের বিশ্বকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে, যা আধুনিক জীবনের অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
চ্যালেঞ্জ ও সমাধান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেমন মানবকল্যাণে অবদান রাখছে, তেমনি এর অপব্যবহারে সমাজে নতুন চ্যালেঞ্জের উদ্ভব হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ, প্রযুক্তি নির্ভরতা, এবং সাইবার ক্রাইম এই সমস্যার উদাহরণ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেতনতা, সঠিক নীতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
395 . যুব সমাজের অবক্ষয়ঃ কারণ ও প্রতিকার। (রচনা লিখুন)
-
যুব সমাজের অবক্ষয়ঃ কারণ ও প্রতিকার
ভূমিকা
যুব সমাজ একটি দেশের শক্তি ও ভবিষ্যতের ভিত্তি। তারা জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু বর্তমান সময়ে যুব সমাজের একাংশ নানা রকম অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় একটি হুমকি। মাদকাসক্তি, অপরাধপ্রবণতা, অনৈতিকতা, এবং লক্ষ্যহীন জীবনযাপন যুব সমাজের অবক্ষয়ের প্রধান লক্ষণ। এই রচনা যুব সমাজের অবক্ষয়ের কারণ, তার প্রভাব, এবং প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে।
যুব সমাজের অবক্ষয়ের কারণ
১. নৈতিক শিক্ষার অভাব
আধুনিক জীবনে নৈতিক শিক্ষার অভাব এবং মূল্যবোধের পতন যুব সমাজকে অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষা না থাকায় যুবকরা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে।
২. বেকারত্ব
বেকারত্ব যুব সমাজের অবক্ষয়ের একটি প্রধান কারণ। কাজের অভাবে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে মাদকাসক্তি ও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে।
৩. মাদকের ছড়াছড়ি
মাদকের সহজলভ্যতা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অপরাধপ্রবণ করে তোলে।
৪. প্রযুক্তির অপব্যবহার
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং এর অপব্যবহার যুব সমাজের সময় নষ্ট করছে। তারা পড়াশোনা ও উন্নয়নমূলক কাজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
৫. পরিবার ও সামাজিক পরিবেশ
পরিবারে অসন্তোষ, অমার্জিত আচরণ, এবং নেতিবাচক সামাজিক পরিবেশ যুব সমাজের অবক্ষয়ে ভূমিকা রাখে।
যুব সমাজের অবক্ষয়ের প্রভাব
যুব সমাজের অবক্ষয় দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ব্যাহত করে। জাতি তার তরুণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে হারায়। মাদকাসক্তি, অপরাধপ্রবণতা এবং নৈতিক অবক্ষয়ের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা তৈরি হয়। উন্নয়ন প্রকল্পে তরুণদের অবদান কমে যায়, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে।
যুব সমাজের অবক্ষয়ের প্রতিকার
১. নৈতিক শিক্ষার প্রসার
পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। নৈতিক শিক্ষা যুবকদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে।
২. কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
যুবকদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়নে ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করা প্রয়োজন।
৩. মাদক নিয়ন্ত্রণ
মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং এর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার
তরুণদের প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার শেখাতে হবে। তাদের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষামূলক কার্যক্রম তৈরি করতে হবে।
৫. পরিবার ও সমাজের ভূমিকা
পরিবারের সদস্যদের উচিত যুব সমাজের প্রতি যত্নশীল ও বন্ধুসুলভ হওয়া। সামাজিক পরিবেশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে।
উপসংহার
যুব সমাজের অবক্ষয় একটি জাতির জন্য ভয়াবহ হুমকি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যুবকদের নৈতিক শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে আমরা তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারি। তরুণদের উজ্জীবিত করে জাতির ভবিষ্যৎকে শক্তিশালী করা আমাদের কর্তব্য।
সারসংক্ষেপ:
যুব সমাজের অবক্ষয় জাতির উন্নয়নের পথে বড় বাধা। নৈতিক শিক্ষা, কর্মসংস্থান, এবং মাদক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করা সম্ভব। সঠিক উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের শক্তিকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
396 . যুব সমাজের অবক্ষয়ঃ কারণ ও প্রতিকার। (রচনা লিখুন)
-
যুব সমাজের অবক্ষয়ঃ কারণ ও প্রতিকার
ভূমিকা
যুব সমাজ একটি দেশের শক্তি ও ভবিষ্যতের ভিত্তি। তারা জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু বর্তমান সময়ে যুব সমাজের একাংশ নানা রকম অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় একটি হুমকি। মাদকাসক্তি, অপরাধপ্রবণতা, অনৈতিকতা, এবং লক্ষ্যহীন জীবনযাপন যুব সমাজের অবক্ষয়ের প্রধান লক্ষণ। এই রচনা যুব সমাজের অবক্ষয়ের কারণ, তার প্রভাব, এবং প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে।
যুব সমাজের অবক্ষয়ের কারণ
১. নৈতিক শিক্ষার অভাব
আধুনিক জীবনে নৈতিক শিক্ষার অভাব এবং মূল্যবোধের পতন যুব সমাজকে অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষা না থাকায় যুবকরা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে।
২. বেকারত্ব
বেকারত্ব যুব সমাজের অবক্ষয়ের একটি প্রধান কারণ। কাজের অভাবে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে মাদকাসক্তি ও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে।
৩. মাদকের ছড়াছড়ি
মাদকের সহজলভ্যতা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অপরাধপ্রবণ করে তোলে।
৪. প্রযুক্তির অপব্যবহার
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং এর অপব্যবহার যুব সমাজের সময় নষ্ট করছে। তারা পড়াশোনা ও উন্নয়নমূলক কাজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
৫. পরিবার ও সামাজিক পরিবেশ
পরিবারে অসন্তোষ, অমার্জিত আচরণ, এবং নেতিবাচক সামাজিক পরিবেশ যুব সমাজের অবক্ষয়ে ভূমিকা রাখে।
যুব সমাজের অবক্ষয়ের প্রভাব
যুব সমাজের অবক্ষয় দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ব্যাহত করে। জাতি তার তরুণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে হারায়। মাদকাসক্তি, অপরাধপ্রবণতা এবং নৈতিক অবক্ষয়ের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা তৈরি হয়। উন্নয়ন প্রকল্পে তরুণদের অবদান কমে যায়, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে।
যুব সমাজের অবক্ষয়ের প্রতিকার
১. নৈতিক শিক্ষার প্রসার
পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। নৈতিক শিক্ষা যুবকদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে।
২. কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
যুবকদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়নে ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করা প্রয়োজন।
৩. মাদক নিয়ন্ত্রণ
মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং এর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার
তরুণদের প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার শেখাতে হবে। তাদের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষামূলক কার্যক্রম তৈরি করতে হবে।
৫. পরিবার ও সমাজের ভূমিকা
পরিবারের সদস্যদের উচিত যুব সমাজের প্রতি যত্নশীল ও বন্ধুসুলভ হওয়া। সামাজিক পরিবেশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে।
উপসংহার
যুব সমাজের অবক্ষয় একটি জাতির জন্য ভয়াবহ হুমকি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যুবকদের নৈতিক শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে আমরা তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারি। তরুণদের উজ্জীবিত করে জাতির ভবিষ্যৎকে শক্তিশালী করা আমাদের কর্তব্য।
সারসংক্ষেপ:
যুব সমাজের অবক্ষয় জাতির উন্নয়নের পথে বড় বাধা। নৈতিক শিক্ষা, কর্মসংস্থান, এবং মাদক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করা সম্ভব। সঠিক উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের শক্তিকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
397 . ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। (ভাব সম্প্রসারণ করুন)
-
ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ
মূলভাব
"ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ" এই প্রবাদটি আমাদের জীবনের একটি মৌলিক সত্য তুলে ধরে। ভোগবিলাস ও স্বার্থপরতার মধ্যে সাময়িক আনন্দ থাকলেও, তা কখনও স্থায়ী সুখ এনে দিতে পারে না। প্রকৃত সুখ আসে যখন মানুষ ত্যাগের মাধ্যমে অন্যের কল্যাণে কাজ করে। ত্যাগ জীবনের সৌন্দর্য এবং মানুষের আত্মার শান্তি নিশ্চিত করে।
সম্প্রসারিত ভাব
মানবজীবনের প্রকৃত অর্থ আত্মত্যাগে নিহিত। জীবনের স্থায়ী সুখ কখনো ভোগবিলাসের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব নয়। ভোগ আমাদের চাহিদাকে বাড়িয়ে দেয় এবং কখনো পরিতৃপ্তি দেয় না। এটি মানুষের মধ্যে আরও লোভ, অহংকার এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, ত্যাগের মাধ্যমে মানুষ নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে অন্যের কল্যাণে কাজ করে। এই ত্যাগই তাকে প্রকৃত সুখ এনে দেয়।
যারা সমাজে নিজের সম্পদ, জ্ঞান, কিংবা সময় উৎসর্গ করেন, তারাই প্রকৃতপক্ষে সুখী মানুষ। ত্যাগের এই মানসিকতা জীবনের গভীর তৃপ্তি এনে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন মায়ের আত্মত্যাগ সন্তানদের জীবনে সুখের আলো জ্বালে। মহাত্মা গান্ধী কিংবা মাদার তেরেসার মতো মানুষরা তাদের ত্যাগের মাধ্যমে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তারা ভোগের চেয়ে ত্যাগকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এবং আজও পৃথিবী তাদের স্মরণ করে।
প্রকৃত সুখ পাওয়ার জন্য ত্যাগের মানসিকতা চর্চা করতে হবে। ত্যাগ আমাদের আত্মাকে মহৎ করে, মানসিক শান্তি এনে দেয় এবং জীবনের সত্যিকার অর্থ উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।
উপসংহার
"ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ" এই কথাটি আমাদের শেখায় যে সুখের আসল পথ আত্মত্যাগ এবং অপরের জন্য কিছু করার মধ্যে নিহিত। ভোগ সাময়িক আনন্দ দেয়, কিন্তু ত্যাগ মানুষকে চিরস্থায়ী শান্তি দেয়। তাই আমাদের উচিত নিজের স্বার্থপরতাকে দূরে সরিয়ে ত্যাগের মানসিকতা গ্রহণ করা, যা আমাদের জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।
সারসংক্ষেপ:
ত্যাগ মানুষের অন্তরে শান্তি এনে দেয়, যেখানে ভোগ কেবল অস্থায়ী আনন্দ দেয়। ত্যাগের মাধ্যমে সমাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে সুখ ও সাফল্যের আসল অর্থ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
398 . যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ (ভাব সম্প্রসারণ করুন)
-
যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ
মূলভাব
"যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ" প্রবচনটি মানুষের পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রভাবকে বোঝায়। এটি নির্দেশ করে, মানুষ যে পরিবেশে যায়, তার আচরণ, মানসিকতা এবং নৈতিকতা সেই পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই প্রবচন থেকে বোঝা যায়, কেউ যদি অন্যায় ও দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবেশে প্রবেশ করে, তবে তার চরিত্র এবং নৈতিকতাও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
সম্প্রসারিত ভাব
মানুষের চরিত্র অনেকাংশে তার পরিবেশ ও সঙ্গদোষের ওপর নির্ভরশীল। একজন ভালো মানুষও যদি অন্যায়, দুর্নীতি এবং অসৎ ব্যক্তিদের মধ্যে বসবাস করে, তবে তার মনোবৃত্তি ও আচরণ সেখান থেকে প্রভাবিত হতে পারে। যেমন রাবণ ছিল লঙ্কার রাজা, এবং তার রাজ্যে থাকা লোকজন তার অন্যায় আচরণে অভ্যস্ত ছিল। যারা সেখানে যেত, তারাও সেই পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে রাবণের মতো আচরণ করতে শুরু করত।
এই প্রবচন আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়। পরিবেশ মানুষের চরিত্র গঠনে বিরাট ভূমিকা পালন করে। একজন শিক্ষার্থী যদি খারাপ সঙ্গ পায়, তবে তার পড়াশোনা এবং নৈতিকতা নষ্ট হতে পারে। একজন সৎ ব্যবসায়ীও যদি দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হয়, তবে তার পক্ষে সৎ থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এই প্রবচন আমাদের সতর্ক থাকার জন্যও একটি বার্তা দেয়। আমরা যদি সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং নৈতিকতাপূর্ণ পরিবেশে থাকতে পারি, তবে আমাদের চরিত্রও সেভাবেই গড়ে উঠবে। আর অন্যায় পরিবেশে টিকে থাকতে হলে আমাদের দৃঢ় নৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে হবে। যারা সৎ ও সাহসী, তারা পরিবেশের প্রভাবকে কাটিয়ে উঠতে পারে এবং অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে পারে।
উপসংহার
"যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ" প্রবচনটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে পরিবেশ ও সঙ্গ মানুষের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের উচিত ভালো সঙ্গ এবং নৈতিকতাপূর্ণ পরিবেশে নিজেকে রাখা। একই সঙ্গে অন্যায় পরিবেশে নৈতিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। যদি সবাই নিজের অবস্থান বজায় রাখে, তবে কোনো পরিবেশই মানুষের চরিত্রকে বদলাতে পারবে না।
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
399 . Good wine needs no bush (বাংলায় অনুবাদ করুন)
- চেনা বামুনের পৈতার দরকার হয়
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
400 . চুড়ান্ত ডিগ্রী (শুদ্ধ করে লিখুন)
- চুড়ান্ত ডিগ্রী = চূড়ান্ত ডিক্রি
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
401 . গন অভ্যুত্থান (শুদ্ধ করে লিখুন)
- গন-অভ্যুত্থান = গণঅভ্যুত্থান
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
402 . কৌশুলি (শুদ্ধ করে লিখুন)
- কৌশুলি = কৌশলী
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
403 . চক্ষুদান করা (অর্থসহ বাক্য রচনা করুন)
- চক্ষুদান করা= চুরি করা
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
404 . দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি (রচনা লিখুন)
-
দুর্নীতি: একটি সামাজিক ব্যাধি
ভূমিকা
দুর্নীতি আমাদের সমাজের একটি ভয়াবহ ব্যাধি। এটি এমন একটি বিষ যা সমাজের প্রতিটি স্তরে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে। দুর্নীতির ফলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক অবক্ষয় ঘটে এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। ব্যক্তিগত স্বার্থে সমাজের নিয়ম, নীতি ও সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হওয়াই দুর্নীতির মূল কারণ। এই রচনা দুর্নীতির প্রকৃতি, এর প্রভাব এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করবে।
দুর্নীতির প্রকৃতি
দুর্নীতি বলতে বোঝায় নৈতিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে আইন বা বিধিবিধান ভেঙে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ চরিতার্থ করার প্রক্রিয়া। এটি হতে পারে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন, কিংবা অন্যায়ভাবে সুবিধা নেওয়া। সমাজে দুর্নীতির বিভিন্ন ধরন বিদ্যমান যেমন—রাজনৈতিক দুর্নীতি, প্রশাসনিক দুর্নীতি, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ইত্যাদি।
দুর্নীতির কারণ
দুর্নীতির পিছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণ। নৈতিক শিক্ষার অভাব, লোভ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, অসৎ প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে। এছাড়া আইন প্রয়োগের দুর্বলতা ও শাস্তির অভাবও দুর্নীতির বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দুর্নীতির প্রভাব
দুর্নীতি সমাজের নৈতিকতা ধ্বংস করে। এটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধি করে। দুর্নীতির কারণে সামাজিক বৈষম্য চরম আকার ধারণ করে এবং সাধারণ জনগণ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় ও অপব্যবহারের ফলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়। একই সঙ্গে দুর্নীতি মানুষের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে, যা সমাজে বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়।
দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয়
দুর্নীতি প্রতিরোধে সর্বপ্রথম প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষার প্রসার। প্রত্যেক নাগরিককে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কঠোর আইন প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতিবাজদের প্রকাশ্যে আনা জরুরি। এছাড়া সামাজিক আন্দোলন এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
উপসংহার
দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজের শেকড়কে নষ্ট করে দেয়। এটি দূর করতে হলে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। নৈতিকতার শিক্ষা, কঠোর আইন এবং সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। দুর্নীতিমুক্ত সমাজই একটি উন্নত এবং সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রের ভিত্তি। সুতরাং, আমাদের সবাইকে একত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং একটি সৎ ও ন্যায়ের সমাজ গড়তে কাজ করতে হবে।
সারসংক্ষেপ:
দুর্নীতি আমাদের সমাজে ধ্বংস ডেকে আনে। এটি প্রতিরোধে নৈতিকতা, সচেতনতা এবং কঠোর আইন প্রণয়ন অপরিহার্য। দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজই সমৃদ্ধ ও উন্নত ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |
405 . অর্ধচন্দ্র (অর্থসহ বাক্য রচনা করুন)
- অর্ধচন্দ্র = গলা ধক্কা
View Answer | Discuss in Forum | Workspace | Report |